সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে লিটন দাসের স্থায়ী অধিনায়কত্বের অধ্যায় শুরু হবে। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি খেলতে কদিন পরেই দুবাইয়ের ফ্লাইট ধরবে বাংলাদেশ। সিরিজটি শুরুর আগে নিজের অধিনায়কত্বের ভাবনা জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আজ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন লিটন।
নিজের অধিনায়কত্বের সময় সিরিজ জয়ই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন লিটন। ৩০ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘দেখুন—এখানে জেদের কিছু নেই। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষেরই যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড় তারা চায় পারফর্ম করতে। প্রত্যেকটা অধিনায়ক বাংলাদেশের সে চায় তার দলটা জিতুক।
সুতরাং আমিও ব্যতিক্রম কিছু না। আমি চাইব আমার হাত ধরে যেন বড় কিছু হয় বা আমি যেন যেকোনো সিরিজে গিয়ে জিততে পারি—লক্ষ্য একটাই।’
দায়িত্ব পেয়ে ছন্দে ফেরার আশা করছেন লিটন। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক বলেছেন, ‘দেখুন—চাপের কিছু নাই।
আমি যেটা আগেও বললাম অধিনায়ক ছিলাম না তখনো পারফরম খারাপ করেছি। এখানে এমন না যে অধিনায়ক হলে আবার খারাপ হবে। এটা একটা বাড়তি সুবিধা হতেও পারে। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে—আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে তারা এক-দুদিন পরেও রেজাল্টটা আসে। আমি ওই জায়গায় আছি।
চেষ্টা করব ইতিবাচকভাবে চিন্তা করার যেন রেজাল্টটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’
দলকে কোনো ব্র্যান্ডেডে খেলাবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেছেন, ‘আসলে ব্র্যান্ডেড ক্রিকেট আমি এটা বলবো না। আমি যেভাবে চিন্তা করি আপনাকে যদি ওই উত্তরটা দিই—কোন কোন খেলায় ১৮০ কিংবা ২০০ রান তাড়া করতে হতে পারে আবার কোন কোন খেলায় ১৪০-১৪৫ রান তাড়া করতে হতে পারে। আমি কিভাবে খেললে ম্যাচটা জিততে পারি এটা হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। হতে পারে একজন ব্যাটার একদিন ২০ বলে ৪০ রানও করতে পারে, একই ব্যাটার পরেরদিন প্রয়োজন নেই ২০ বলে ১৫ রান করতে হতে পারে। আমি চাই প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যেন খেলার ভেতর ইনভলভ থাকে। আজকের দিনটাতে আমার কাছে কী চাওয়া, দল আমার কাছে কী চাচ্ছে। আমার প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যদি এই জিনিসটা বুঝে আমার কাছ থেকে দল এই জিনিসটা চাচ্ছে আমার মনে হয় দলের রেজাল্টটা বেশি হবে রাদার দ্যান আমাদের ওই ব্র্যান্ডেড ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অধিনায়ক হিসেবে কেউ রোল মডেল নেই বলে জানিয়েছেন লিটন। তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়া তো আমি খারাপ খেলেছি, এখন অধিনায়ক হয়ে আসতেছি—বিপরীত জিনিসও হতে পারে যে আসার পর থেকে ভালো খেলতেও পারি। আমি যেটা বললাম ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইটা জিনিসই থাকবে কিন্তু ওইভাবে আমার রোল মডেল নেই যে যাকে আমি ফলো করব।’
Leave a Reply